সিলেট এমসি কলেজে নববধূকে গণধর্ষণে গণমাধ্যমজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে তার স্বামীর সামনে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টায় বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনায় সচেতন মানুষ যখন যারপরনাই উদ্বিগ্ন, তখন খোদ রাজধানীতেই মাত্র ১৩ বছর বয়সের এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সেই কা- মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ফের তাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে এই বলে যে, এর অন্যথা হলে এসব ভিডিওচিত্র সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের বালুরমাঠ কুর্মিটোলা বস্তিতে এ কা- ঘটেছে। তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের এ ঘটনা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হলে তা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ধর্ষকরা, স্থানীয় একটি চক্রের মদদে। এসব অভিযোগ যুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার মো. রাব্বি ওরফে বড় রাব্বি, গোলাম রাব্বি ওরফে ছোট রাব্বি ও কবির হোসেন ওরফে কবির নামে স্থানীয় তিন বখাটের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায়
ধর্ষণের মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা। পেশায় তিনি রিকশাচালক। তার অভিযোগ, আসামিদের গ্রেপ্তার ও মামলা তদন্তে গড়িমসি করছে পুলিশ। বাদী জানান, মামলার তিন নম্বর আসামি কবিরকে বাদী নিজেই ধরে থানায় সোপর্দ করেছেন। অন্য দুই আসামি এখনো পুলিশের নাগালের বাইরে। গতকাল সোমবার ঘটনার সবিস্তারে জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কবির।
মামলার বাদী গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের সময়কে জানান, তিনি পেশায় রিকশাচালক। সপরিবারে থাকেন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের কুর্মিটোলা ক্যাম্প এলাকায়। তার মেয়ে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে অভিযুক্ত তিন বখাটেসহ কয়েকজন তাকে উত্ত্যক্ত করত। গত ২৮ আগস্ট সকালে মেয়েটিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের বালুরমাঠ কুর্মিটোলা বস্তির মর্জিনা বেগমের কক্ষে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে গোলাম ও রাব্বি। এসব দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে কবির। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে খুন করার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয় ধর্ষকরা। কিন্তু দিনের পর দিন ধর্ষণের সেই ভিডিওচিত্র এলাকায় ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তারা ফের ধর্ষণ করতে চায়। এবার ভয় উপেক্ষা পুরো বিষয়টি মা-বাবাকে জানিয়ে দেয় ওই স্কুলছাত্রী। এর পর গত বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা।
তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ ভিত্তিহীন, এমন দাবি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক অপারেশন মো. ইয়ামিন কবির আমাদের সময়কে বলেন, গুরুত্বসহকারে মামলার তদন্ত চলছে। গ্রেপ্তার একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে; অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রকাশ:
২০২০-১০-০৬ ০৮:৩৯:৫৫
আপডেট:২০২০-১০-০৬ ০৮:৩৯:৫৫
- আচরণবিধি লঙ্ঘন, মহেশখালীতে দুইপ্রার্থীকে জরিমানা
- ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- টেকনাফে আইস ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এক
- বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন :কক্সবাজারের তিন উপজেলায় কে কোন প্রতীক পেলেন
- আজ দেখা মিলবে গোলাপি চাঁদের
- পল্লী চিকিৎসক কে তুলে নিয়ে গেলো দুর্বৃত্তরা, টেকনাফে আবারো অপহরণ আতংক!
- আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে শাসকগোষ্ঠী: ফখরুল
- কুতুবদিয়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- বিট কর্মকর্তা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেফতার -২
- মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য
পাঠকের মতামত: